:::এ এম ওমর আলী:::
বর্তমানে দেশে ডায়াবেটিস রোগির সংখ্যা যে পরিমান তার চেয়ে বেশি চক্ষুরোগির সংখ্যা। দিন দিন বাড়ছে এ রোগির সংখ্যা। তবে ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা বা সাধারণ চিকিৎসার চিকিৎসক কমবেশি সবখানে পাওয়া যায়। কিন্তু চক্ষু রোগের চিকিৎসক পাওয়া যায়না বললে চলে। বিশেষ করে চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, নিকটস্থ বান্দারবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষং ছড়ি এলাকায়। চকরিয়ায় প্রতি শুক্রবার দু’একজন সিনিয়র চিকিৎসক আসেন নামমাত্র সেবার উদ্দেশ্য। তারা রোগি দেখার প্রতি যত্নবান বলে মনে হয়না। বিষেশজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, একজন রোগিকে সর্ব নিম্ন ৫ মিনিট না দেখলে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হবেনা, কিন্তু এমন চিকিৎসকও দেখা যায়, টাকার দিকেই তাকান, রোগির দিকে তাকান না, বরং রোগির কথার উপর তাড়াহুড়া করে ব্যবস্থা পত্র দিয়ে বিদায় করেন। এমন নজির ৯০ ভাগ। চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় দিতে হয়। চোখ হলো স্পর্শ কাতর স্থান, যেখানে হুট করে টাচ করা যায়না। তবে উপরোক্ত এলাকার চক্ষু রোগিদের জন্য সুখবর হলো চক্ষু বিশেষজ্ঞ এখন চকরিয়ায়। অনেক দিন ধরে চিকিৎসা দিচ্ছেন একজন এমডি, পিএচ ডি করা তরুন চিকিৎসক, যা আমরা অনেকই জানিনা। তিনি হলেন ডা : মোসলেম উদ্দিন ফারুক। ডাক নাম ডা: রিয়েল। তিনি বসেন আল-রাজি চক্ষু হাসপাতাল ও ডক্টর’স চেম্বারে। কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের সোসাইটি জামে মসজিদ মার্কেটের দক্ষিণ পাশ্বেই এটি অবস্থিত। তিনি পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লামার চিরিঙ্গা এলাকার আলহাজ্ব ফারুক আহমদের সন্তান। তার জন্ম ১৯৮৮ সালের ৩০ এপ্রিল। কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করেন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে। ৮ ম শ্রেনীতে স্কলার নেন চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুল থেকে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিএফ শাহীন কলেজে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচ এসসি পাশ করে এমবিবিএস কোর্সে ইউএসটি, চট্টগ্রামে ভর্তি হন তিনি। এমবিবিস কোর্স শেষ করে পিজিটি করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। পেশায় নিয়োজিত হলে বাংলাদেশ আই হসপিটালে আরএমও হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে চক্ষু বিষয়ে এমপিএইচও কোর্স সম্পন্ন করেন তিনি। সর্বশেষ জিংগাং শান মেডিকেল কলেজ থেকে এমডি, পিএইডি করেন তিনি। এছাড়া চক্ষু চিকিৎসার উপর বিএসএমএম ইউ থেকে ট্রেইনড ইন মাইক্রো সার্জারি তিনি। বর্তমানে আল-রাজি চক্ষু হাসপাতাল এন্ড ডক্টরস চেম্বারের প্রতিষ্টাতা পরিচালক তিনি। ভদ্র, নম্র, বিনয়ী ও মিষ্টভাষী এ তরুন মেধাবী চিকিৎসক রোগি দেখেন আন্তরিকতার সাথে। নিজ এলাকায় এসে সেবার মহান ব্রত মাথায় নিয়ে চেম্বার করছেন তিনি। গরীব, অসহায় ও আর্থিক দূর্বল রোগিদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপত্রে ফি নেননা তিনি। অতএব চক্ষু রোগের ক্ষেত্রে চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষংছড়ি এলাকার মানুষের জন্য এটি অতি সুখবর বললে চলে। প্রয়োজনে এ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে ০১৭৪৭৫০৮৩৫০ নম্বরে কল করা যাবে।
Leave a Reply