মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯০টি বার্মিজ গরু আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় চারটি চোরাচালান বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব বার্মিজ গরু আটক করা হয়। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটককৃত গরুগুলো সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে অবৈধভাবে এনে পাহাড়ী এলাকায় পাচারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছিল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পৃথক তিনটি অভিযানে ১ কোটি ২২ লাখ টাকার ৯০টি গরু আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে আলীকদম ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো. শহীদুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ৫৭ বিজিবি ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার গবাদি পশু আটক করা হয়। এসব গরু নিলামের মাধ্যমে ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়। অবৈধ চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় চোরাচালান দমনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা। এদিকে গত কয়েকমাস ধরে মায়ানমার থেকে অবৈধ পথে বার্মিজ গরু বাণিজ্য বেড়েছে আলীকদমে। স্থানীয়রা জানান, এসব গরুর পাশাপাশি মাদকের চালানও আনছে চোরাকারবারীরা। এই অবৈধ বাণিজ্যের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়েছে বলে বলে অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের কাছে। এমন অভিযোগে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে সোমবারের অভিযানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সহায়তা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম।
অভিযানে বিজিবিকে এই জনপ্রতিনিধির সহায়তার পর থেকে আলীকদমে অভিযুক্ত অন্যান্য চোরাকারবারীরা নড়েচড়ে বসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, গরু বাণিজ্যের সঙ্গে কিছু ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি জড়িত থাকায় চোরাচালান দমনে হিমশিম খাচ্ছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
Leave a Reply