নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া পৌরসভা পশ্চিম করাইয়াঘোনায় মালিকানাধীন সেচ স্কীমের আওতাধীন জামিতে
রেল লাইনের মাটি কেটে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী স্টাইলে জোরপূর্বক সেচের পানি ঢুকানোর নামে আবারো স্থানীয় কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পূর্ববর্তী স্কীমের ম্যানেজার ফরিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে করাইয়াঘোনা ও রামপুর মৌজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রামপুর মৌজার সেচ স্কীমের মালিক পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকার বাদশা মিয়ার সন্তান মো:জাবের জানান,আমাকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন উপ-সহকারী প্রকৌশলী(ক্ষুদ্ধসেচ) এর কার্যালয় চকরিয়া কক্সবাজার কর্তৃক চকরিয়া উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র মূলে আমার নামে গত ২৯ /৮/২০২২ ইং তারিখে রামপুর মৌজার ৪০ একর কৃষি জমিতে সেচ প্রকল্পটি আগামী ২০২৫ ইং সেচ মৌসুমে সেচ কার্য্য পরিচালনার জন্য স্কীমটিতে বিদ্যুাতিক সংযোগ পায়।এবং ভোগ দখলে আছি।কিন্তু স্থানীয় ফরিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আমার আওতাধীন জমিতে রাতের অন্ধকারে রেল লাইনের মাটি কেটে পাইপ ঢুকিয়ে অন্যায়ভাবে স্থানীয় কৃষকদের ইচ্ছের বাহিরে পানি ঢুকাতে চাই।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমি তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যক্তির কাছে স্থানীয় কৃষক জিম্মি রয়েছে।এবং কৃষকদের কাছথেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছে। জাবের আরো জানান,ফরিদ’ও তার ভাইয়েরা দেশের আইন কানুন কিছুই মানে না।তারা সন্ত্রাস তাদের অপর ভাই জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের বিরুদ্ধে মানব পাচার মামলা সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।এছাড়াও তাদের অপর ভাই ফোরকান মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় রুহুল কাদের নামের এক কৃষক জানান,আমরা দীর্ঘদিন যাবত করাইয়াঘোনা সেচ স্কীমের ম্যানেজার ফরিদুল ইসলামের অত্যাচারে আছি। আমাদের কৃষকদের তিনি জিম্মি করে রেখেছে। ফরিদ আমাদের কাছথেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ নানা ও অনিয়ম করে যাচ্ছে এলাকায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান,রেল লাইনের মাটি কেটে অন্যজনের সেচ স্কীমের জমিতে পানি ঢুকাচ্ছে এ ধরনের একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি।বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের পৃথক দুটি টিম গিয়েছিল।এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply