পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৩ লবণ চাষীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত ৩ জনই আপন সহোদর। স্থানীয়রা জখমীদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। ২০ জানুয়ারী (শুক্রবার) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-ওই এলাকার বজল আহমদের পুত্র জাফর আলম (৫০), তার ভাই মাহাবুব আলম (৩৮) ও জকির আলম (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লবণ চাষের জমি নিয়ে লালজানপাড়ায় বজল আহমদের পুত্র জাফর আলম গং ও মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র ইউনিয়ন যুবদল নেতা খোরশেদ আলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত থেকে বিরোধীয় লবণ চাষের জমিগুলি রিসিভার করা হয়। চলতি মৌসুমে ওই জমিতে লবণ উৎপাদনের জন্য চাষা নিযুক্ত করা হয় জাফর আলম গংদের। ঘটনার দিন দুপুরে যুবদলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র খোরশেদ আলম বিরোধীয় জমিতে জবর দখল কুমানসে হানা দেয়। এ সময় ওই যুবদল নেতার পক্ষে তার অনুগত ১৫/২০ জনের দুবৃর্ত্তরা লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে করে জমিতে লবণ উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদের লাগিয়তকৃত জমির চাষী জাফর আলম তার দুই সহোদর মাহাবুব আলম ও জকির আলমকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাফর আলমকে হাড়ভাঙ্গা জখম করা হয়েছে। তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার ছোট ভাই মাহাবুব আলমকেও চোখের স্পর্শকাতর অংশে আঘাত করা হয়েছে। জকির আলমকেও কপালে ও মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আহত লবণ চাষী মাহাবুব আলম জানান, যুবদল নেতা খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে আমরা ৩ ভাইকে হামলা চালানো হয়েছে। ১২/১৫ কানি জমির পানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা পরিষদের চাষা। টইটং,বারবাকিয়া, মগনামা থেকে ভাড়াটে বহিরাগত লোকজন জড়ো করে খোরশেদ অতর্কিত হামলা চালায়। এ ব্যাপারে অপরপক্ষের খোরশেদ আলম জানান, তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। জমিদারের কথায় আমি মাঠের পানি বন্ধ করেছি। রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, এ জমি নিয়ে পরিষদে বিচার আছে। মাহাবুব আলম গংদেরকে জমি চাষাবাদের জন্য পরিষদ থেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি মারপিটের খবর পেয়েছি। ১ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply