পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া স্মার্ট স্কুলে ৯ বছরের মধ্যেই কোন শিক্ষার্থী হননি অকৃতকার্য। ফেল করা শিক্ষার্থীর গড় হার শূণ্য। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ওই প্রতিষ্টানটিতে শিক্ষার্থী পাসের হার শতভাগ। ২০২২ সালে নতুন আঙ্গিকে পেকুয়ায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্টান হিসেবে আরো কঠিন চ্যালেঞ্জ শুরু করেছে স্মার্ট স্কুলটি। কঠোর সাধনা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ প্রতিষ্টানটি এবার চালু করছে ইংলিশ ভার্সনে ক্লাস। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকমন্ডলী পেকুয়া স্মার্ট স্কুলকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় জড়িয়ে গেছেন। সম্পূর্ণ ক্লাস নির্ভর পাঠদান থাকবে প্রতিষ্টানটিতে। পেকুয়ার প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হিসেবে স্মার্ট স্কুলকে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চলছে কাজ। স্মার্ট স্কুল পেকুয়ায় প্লে থেকে এস,এস,সি পর্যন্ত উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্টান। ২০১৩ সালে স্মার্ট স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই সময় থেকে এ প্রতিষ্টানটি পেকুয়ায় অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে অদ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখে। বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়ামে প্লে থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও প্লে থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিষ্টানটিতে চলছিল শ্রেণী কার্যক্রম। বর্তমানে এ প্রতিষ্টানে এস,এস,সি পর্যন্ত পড়ালেখা চলমান আছে। প্লে থেকে এস,এস,সি পর্যন্ত চলছে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম। ২০১৩ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে এর একাডেমিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হয়। তবে সেই সময় থেকে এ প্রতিষ্টানটি পেকুয়ায় সাড়া জাগানো ফলাফল দিতে সক্ষম হয়েছে। সক্ষমতার দিক থেকে প্রতিষ্টানটি পেকুয়ায় অত্যন্ত সুনাম ও দৃষ্টিনন্দন শিক্ষা কার্যক্রমের অংশীদার হয়েছে। দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা চলছে পাঠদান। পেকুয়ার প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র কলেজ গেইট চৌমুহনীর অভিজাত স্থানে এর একাডেমিক ভবন। পেকুয়ার প্রখ্যাত পুরাতন জমিদার বাড়ীর মনোরম মনোমুগ্ধকর পরিবেশে স্মার্ট স্কুলের ক্যাম্পাস অবস্থিত। এবিসি সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে চৌমুহনীতে এর অবস্থান হওয়ায় স্কুলটির গুরুত্ব বেড়েছে পেকুয়ার মানুষের কাছে। ২০২২ সালের শিক্ষাবর্ষকে স্মার্ট স্কুল নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা করে। এ স্কুলে চলবে সম্পূর্ণ ইংলিশ মিডিয়ামে শ্রেণী কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদেরকে পড়ানো হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রেরিত পাঠ্য বই। স্পোকেন ইংলিশকে করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হবে স্পোকেন ইংলিশের আওতায়। এ ছাড়া থাকবে স্মার্ট স্কুলে বিজ্ঞান ক্লাব। প্রতি ত্রৈমাসিক পর পর প্রকাশ পাবে দেয়াল পত্রিকা। ইংলিশ, গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। থাকবে প্রতি সপ্তাহে গণিত ও বিজ্ঞান সপ্তাহ। বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায় থাকতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে। অশংকোজ প্রকাশের দুরন্ত সাহসের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বিতার্কিকরা বক্তব্য দিবে ইংরেজীতে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্টানটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাথে দেশের শিক্ষার্থীদের সমন্বয় সাধনের জন্য কাজ করার দৃঢ় সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর অঙ্গীকার নিয়ে স্মার্ট স্কুল কাজ করছে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা হলেও উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজী হচ্ছে সর্বাধিক মাধ্যম। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেখা করা ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠতা অর্জন করছে। পেকুয়া স্মার্ট স্কুল মনে করছে বর্তমান সময়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে হলে ইংরেজী ভার্সনকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ লক্ষ্যে নিয়ে তারা কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলতে এ প্রতিষ্টানটি অত্যন্ত আন্তরিক। শুধু পড়ালেখা নয় মানবিক ও মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনেরও অঙ্গীকার ঘোষণা করছে পেকুয়া স্মার্ট স্কুল। ওই প্রতিষ্টানের যিনি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব আছেন তিনিও একজন প্রশংসনীয় মানুষ। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে পড়ালেখা করেছেন। প্রধান শিক্ষকের নাম মো: সাজ্জাদ হোছাইন। তিনি দেশ থেকে নিয়েছেন সর্বোচ্চ বিদ্যা। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও তিনি বিদ্যা অর্জন করেন। সুদুর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছেন। এ কৃতিমান শিক্ষক স্মার্ট স্কুলটিকে নিয়ে যাচ্ছেন একটি অভীষ্ট লক্ষ্যে। যার অভীষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জাতি গঠনের প্রয়াস।
Leave a Reply