পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। এবারের মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এস,এস,সি) পরীক্ষায় ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাসের হার শতভাগ। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ওই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাস ও অভাবনীয় উন্নীত হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়েছে। এ ছাড়াও ফৈজুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজে আগামী ২০২৩ সালে অনুষ্টিতব্য এস, এস, সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে নিয়েও মতবিনিময় সভা করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভায় সংবর্ধিত শিক্ষার্থী ও স্কুলটিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় চুড়ান্ত পর্যায়ে কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্টানটির গভর্ণিং বডির সভাপতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টাকারী স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব এ, জে, এম গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গভর্ণিং বডি ও এর প্রতিষ্টাতা সদস্য এটিএম শামশু উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিইউআই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন ফারুক, প্রখ্যাত ওয়ায়েজিন মাওলানা আক্তারুজ্জামান, ফৈজুন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছরওয়ার আলম, পি,টি,এ সদস্য মাওলানা আবদুল করিম, মাওলানা শফিকুর রহমান, অভিভাবক সদস্য ফজলুল করিম, আক্তার হোছাইন প্রমুখ। এ দিকে ওই দিন শিক্ষার মান উন্নয়ন কর্মশালা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্টানে বিপুল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সুত্র জানায়, চলতি বছর অনুষ্টিত এস,এস,সি পরীক্ষায় রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে পাসের হার শতভাগ। জি,পি,এ-৫ পেয়েছে ২৩ জন শিক্ষার্থী। মূলত প্রতিষ্টানটির শিক্ষার মানের প্রসার ঘটাতে ওই দিন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগটি গ্রহণ করে। অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সুধীজনদের নিয়ে ওই সভাটি অনুষ্টিত হয়েছে। “শিক্ষিত মা একটি সুরভিত ফুল প্রতিটি ঘর হবে একটি স্কুল” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মূলত আলোচনা অনুষ্টিত হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অন্যতম পৃষ্টপোষক আলহাজ্ব এ,জে,এম গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে একটি অভীষ্ট্য লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হচ্ছি। আমাদের ছেলে-মেয়েদের এ সফলতা আরো ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকবে। উপজেলায় আমরাই একমাত্র প্রতিষ্টান শতভাগ পাস আমাদের এ প্রতিষ্টানে হয়েছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করছে। নারীদেরকে অবহেলা করা যাবেনা। প্রতিটি ক্ষেত্রে আজকে মেয়েরা সফল হচ্ছে। আমিও চাই আমাদের এ অজপাড়াগাঁয়ের মেয়েরা লেখাপড়ার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কাছে আরো সমাদৃত হবেন। নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য এখান থেকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। এখন ছেলেরা যেভাবে সম্পদ মেয়েরাও ছেলেদের চেয়ে কম নন। তারাও সম্পদে পরিনত হবে সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে আমাদেরকে একটি অভীষ্ট্য লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হবেন। আমরা এ প্রত্যাশাটুকু করি আমাদের ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে।
Leave a Reply