স্টাফ রিপোর্টার:
তিন বছরের পরিবর্তে ছয় বছর পর নির্বাচন অনুষ্টান। তার উপর আবার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। প্রার্থীর মতের বিপক্ষে টসে ফেলে অপর প্রার্থীকে পরাজয় করা যেন সমিতির নির্বাচন নামে শিশুখেলা। এমনটাই অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জন করে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবী জানালেন সভাপতি প্রার্থী নুর সোবাহান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন বছর পর পর চকরিয়ার পৌসভার অন্তর্গত লক্ষ্যারচর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচনের আয়োজন করার কথা, কিন্তু নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির ধামাচাপা দিতে নির্বাচনের আয়োজন করেনি নেতারা। অবশেষে ৬বছর পর ২১ জুলাই ওই এলাকার জেলে পাড়া নুরানী মাদ্রাসায় অনুষ্টিত হয় নির্বাচন।
সকাল ১০ থেকে বিকেল ১টা পর্যন্ত ভোটদান চলে। ১১৫ ভোটারের মধ্যে ভোটপড়ে মাত্র ৬৯ ভোট। ৩ ভোট নষ্ট দেখানো হয়। সভাপতি প্রার্থীর সংখ্যা ২ জন। ভোটে দেখানো হয় ৩৩ ভোট করে দু’জনই সমান পান। তবে সভাপতি প্রার্থী নুর সোবাহান অভিযোগ করেন, আমাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজয় করতে ৩ ভোট নষ্ট দেখানো হয়। আবার পরাজয় করতে লটারিতে ফেলা হয়। লটারিতে ফেলে আমাকে পরাজয় নিশ্চিত করা হয়। নুর সোবাহান অভিযোগে আরো জানান, এ সমিতি মাত্র ৯৯ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে, বর্তমানে ১১৫ জন সদস্য। সমিতির নামে রামপুর মৌজায় ১০ একর চিংড়ি ঘের রয়েছে। বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় হয়।কতিপয় কর্তা ব্যক্তি লুটপাটের সুযোগ নিতে পরিকল্পিত নির্বাচনের আয়োজন করে। তিনি এ নির্বাচন বাতিল চেয়ে প্রধামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply