পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সিএনজি চালকের স্ত্রী উধাও হয়েছে। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ওই নারী লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুত্রবধূর এমন কান্ডের প্রতিকার পেতে শাশুড় গেলেন কোর্টে। ৩ জুলাই (রবিবার) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনায় এ ঘটনা ঘটে। উধাও হওয়া ওই নারীর নাম আনার কলি (২১)। তিনি শেখেরকিল্লাঘোনার সিএনজি চালক রানা মিয়ার স্ত্রী। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনার কলির শাশুড় শেখেরকিল্লাঘোনার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র মো: ইদ্রিস আহমদ চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোর্ট ডায়েরী লিপিবদ্ধ করার আবেদন প্রেরণ করেন। কোর্টে প্রেরিত কোর্ট জিডির আর্জিতে আবেদনকারী মো: ইদ্রিস আহমদ জানিয়েছেন, ২ বছর পূর্বে আনার কলি ও রানা মিয়ার বিয়ে হয়েছে। আনার কলি মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনার ফেরদৌস আহমদ বাবুলের মেয়ে। রানা মিয়া ও আনার কলির মধ্যে কিছু দিন আগে বনিবনা চলছিল। সাংসারিক দ্বন্দের কারনে আনার কলি কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। যার নং ৭৯/২২। সম্প্রতি ওই মামলাটি আদালতে আপোষনামা পৌছান বাদী। রবিবার (৩জুলাই) রানা মিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী মিনু আরা বেগমকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই নারীর সন্তান প্র¯্রব হয়েছে হাসপাতালে। তাকে দেখতে রানা মিয়ার পিতা-মাতাসহ স্বজনরা হাসপাতালে ছিলেন। এ সুবাধে রানা মিয়ার স্ত্রী আনার কলি স্বামীর সংসার থেকে লাপাত্তা হয়। এ ব্যাপারে আনার কলির শাশুড় ইদ্রিস আহমদ জানান, আমি কিছু দিন আগে একটি গরু বিক্রি করেছি। গরু বিক্রির টাকাসহ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে আমার ছেলের বউ আনার কলি সটকে পড়ে। আমি দ্রæত চকরিয়া কোর্টে গিয়ে এ ঘটনার আইনী সহায়তা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। কোর্ট ডায়েরী লিপিবদ্ধ করতে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছি। আনার কলি অবাধ্য মহিলা। স্বামী ও শাশুড় বাড়ির কাছে সে অবাধ্য। তার আচর আচরণে আমরা অত্যাচারী হচ্ছি। এর আগে নৈতিক স্খলন জনিত কারণে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। আনার কলির শাশুড়ী আমেনা বেগম জানান, ১ পুত্রবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সে ২ মাসের অন্ত:স্বত্তা। আরেক পুত্রবধূ পালিয়েছে স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে। এটি পীড়াদায়ক ঘটনা। নেজামের স্ত্রী আয়েশা জানান, আমরা হাসপাতালে ছিলাম। এসে দেখতে পায় সবকিছু নিয়ে আনার কলি পালিয়েছে। ভাড়াটিয়া পারভীন ও মুন্নি নামক দুই গৃহবধূ জানান, ওরাতো সবাই হাসপাতালে গেছে। এমন কঠিন মুহুর্তে আনার কলি বাড়ি থেকে চলে গেছে।
Leave a Reply