নিজস্ব প্রতিনিধি:
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর -মানিকপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের আক্তার আহামদ(৭৫)এর ক্রয়কৃত ১৫ শতক জমি জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ চকরিয়া থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
সোমবার (২৭)জুন সকালে উত্তর সুরাজপুর ৮নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আক্তার আহামদ ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালুর সন্তান।
এতে অভিযুক্তরা হলেন সুরাজপুর ০৮ নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত-ছৈয়দ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুচ ও ইউনুচের সন্তান মোহাম্মদ মুছা,মো: রায়হান, স্ত্রী হাজেরাখাতুন।অজ্ঞাত ৭/৮ জন।
লিখিত অভিযোগে ও ভুক্তভোগী আক্তার আহামদ জানান,১৫ শতক জমি বিগত ০৮/০৭ /২০১০ ইং তারিখে রেজিস্ট্রি দলিল নং-৪০৩১ মুলে সুরাজপুর মৌজার ৭৫ শতক জায়গা আক্তার আহামদ ক্রয় করেন। উক্ত জায়গার নামজারি ও রয়েছে তার নামে। বৃদ্ধ আক্তার জানান,
অভিযুক্ত ইউনুচ গং রা দেশের প্রচলিত আইন-কানুনের কোনো ধার ধারেন না। অন্যের বিষয়-সম্পত্তির ওপর অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে অর্থ আত্মসাৎ করাই তাদের নেশা।
তারা অন্যায়ভাবে আমার ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছে।বিগত ৩ বছর পূর্বে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসব সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত করে।
বর্তমানেও তার পরিবারকে
পৃথক পৃথক ভাবে ফেলে মারবে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাদের কাগজপত্র কিছুই নেই।
এছাড়াও স্থানীয় কিছু খারাপ মানুষকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে জায়গাটিতে বসবাস করছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সহযোগী কামনা করেন এবং জমিটি তার শেষ সহায় সম্বল বলেও জানান।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাযায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।যে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,কয়েকজন শ্রমিকদিয়ে লুকোচুরি করে ঘর নির্মাণ করছে ইউনুছ ও তার সন্তান’রা। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
অভিযুক্ত ইউনুচ বলেন,ছেলে সন্তান নিয়ে জায়গাটিতে বসবাস করে আসছে কয়েকবছর ধরে এবং উক্ত জমিটি ওয়াক্ফ এষ্টেট এর জমি বলে জানেন তারা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান,বিষয়টি কোন অফিসারের কাছে দেখতেছি হাতে পাওয়া মাত্র তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply