সাইফুল ইসলাম সাইফ:
চকরিয়ায়”তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ফসল উৎপাদন ও বহুমুখী আয়ের উৎস সৃষ্টি” প্রকল্পে মালচিং পেপার ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতার ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭)জুন সকালে চকরিয়া বরইতলি মাইজপাড়ায় এ অনুষ্ঠান হয়।এতে স্থানীয় শত শত কৃষক পরিবার অংশ নেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইপসা’র কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হোসেন জানান, গৃষ্ম কালীন তরমুজ চাষ বরইতলিতে ৫ জন কৃষককে দিয়ে চাষ করিয়েছি
তারা হলেন,মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন,মোঃ নুরুল কবির, মোঃ মোতালেব হোসেন ও মোঃ মিজান ( লক্ষ্যারচর)তারা এ চাষ করে সফল হয়েছে।আমাদের চাওয়া কৃষকরা তামাক ছেড়ে অন্যআন্য চাষ করুক।তিনি আরো জানান,তামাক ক্ষতিকারক একটি চাষ।একজন কৃষক তামাক চাষে তিন ঘন্টা কাজ করলে ৫০ টি সিগারেট খাওয়ার মতো,তামাকে চাষীদের প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘন্টা সময় দিতে হয়, তাহলে কি পরিমাণ তার শরীলের ক্ষতি হচ্ছে।এছাড়াও পরিবেশ বনাঞ্চল সহ সবদিক ক্ষতি করে এই চাষ।
তাই বলব, তামাক ছেড়ে অন্যআন্য চাষ করুন।সেক্ষেত্রে আমাদের সহযোগীতা পাবেন।
এদিকে গৃষ্ম কালীন তরমুজ চাষ করে কৃষক মো:মহিউদ্দীন ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করে ১ম দফায় ৩০ হাজার টাকা পেয়েছেন।আগামী বারেও তিনি ৩০ হাজার টাকা পাবেন স্বপ্ন দেখছেন।তিনি আগামীতে বড় পরিসরে তরমুজ চাষ করার কথা জানান।
পিকেএসএফ ও ইপসা’র আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বরইতলী ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ওই ৫ জন কৃষককে দিয়ে মালচিং পেপার ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করানো হয়।
এসময় ইপসা’র ম্যানেজার খোকন চাকমা, বরইতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আতিক ও ইপসা’র নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply